নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে এক রোগীকে ব্যথানাশক স্যালাইন দেওয়ার সময় ওই স্যালাইনে পাওয়া গেলো ফাঙ্গাস। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর গ্রামের মোঃ জহির উদ্দিন ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ী পেটের ব্যথায় অসুস্থ হলে তার স্বজনরা ম্ন্সুীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইরে থেকে স্যাল্যাইন কিনে আনতে পেসক্রিপশন করেন। রোগীর স্বজনরা জেনারেল হাসপাতালে বাইরের মাস্টার ফার্মেসী থেকে স্যালাইন কিনে এবং ওই স্যালাইন জেনারেল হাসপাতালের একজন কতর্ব্যরত নার্স রোগীকে পুশ করেন। এদিকে রোগীকে ব্যথানাশক স্যালাইন পুশ দেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি হতে দেখলে স্বজনরা নার্স ও ডাক্তারকে ডেকে আনেন। তারা এসে দেখেন স্যালাইনের ভেতর মারাত্মক ফাঙ্গাস জমে রয়েছে। পরে দ্রুত স্যালাইন খুলে ফেলা হয়। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে হাসপাতাল থেকে ওই রোগীকে স্যালাইন দেওয়া হলে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করেন।
রোগীর বড় ছেলে জনি ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের ৫/.ডিএ স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেন। আমি মাস্টার ফার্মেসী থেকে ওই স্যালাইনসহ অন্য ওষুধ কিনে নেই। পরে আমার রোগীকে ৫/.ডিএ স্যালাইন পুশ করা হয়। কিছুক্ষণ পর আমার রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা টেনশনে পড়ে যাই। পরে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স এসে ওই স্যালাইন খুলে ফেলে এবং দেখেন স্যালাইনের ভেতর মারাত্মক ফাঙ্গাস জমে রয়েছে।
অন্যদিকে মাষ্টার ফার্মেসীর কর্মচারী মোঃ জুবায়ের বলেন, আমাদের ফার্মেসীতে স্যালাইন ছিলো না। পাশের সেতু ফার্মেসী থেকে ৫০/.ডিএ স্যালাইন কিনে তারপর ওই রোগীকে দেওয়া হয়।
এদিকে ফাঙ্গাস জমে থাকা স্যালাইন কিভাবে ফার্মেসীতে রাখা হচ্ছে এবং রোগীকে দেওয়া হলো এ বিষয়ে সেতু ফার্মেসীর কর্ণধার ও ম্ন্সুীগঞ্জ জেলা ফার্মেসীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত আলী খাঁ বলেন, আমাদের ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বা স্যালাইন সাধারণত থাকে না। এটি একটি দুর্ঘটনা।
অন্যদিকে এই ঘটনার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে বাইরে থেকে স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু ফার্মেসী থেকে এনে রোগীকে যে ব্যথানাশক স্যালাইন পুশ করা হয়েছে তাতে ক্ষতিকর ফাঙ্গাস ছিলো কিনা সেটি দেখে দেওয়া উচিত ছিলো। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।