নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মোদ্যোগ গ্রহণ করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের যাতে খাদ্যাভাব না হয় সেজন্য সরকারিভাবে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে এবং সারাদেশে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সারাদেশে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার বা আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে সবার জন্যই সর্বাধিক সাবধানতা অবলম্বনের এখনই চূড়ান্ত আর শেষ সময়। সকলকেই আগামী ৬ থেকে ১০ দিন অত্যন্ত সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে অতিবাহিত করতে হবে। এখন দরকার সর্বাধিক সতর্কতা ও কোয়ারেন্টাইন। এরপর আর সাবধান হয়েও কোনও লাভ নেই। একবার করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে। আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। আপনি, পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। প্রত্যেকেই তার পরিবারের সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন।
তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন। যারা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা ১৪ দিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার যে দুই সপ্তাহ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হবে। এই সময় পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের শর্ত মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।