নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রসুলবাগ এলাকার একাংশ লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন বন্দর উপজেলার রসুলবাগের একাংশ এলাকা লকডাউন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার। তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই একাংশ লকডাউনে থাকবে। জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে লকডাউনকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল কাদের, র্যাব-১১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, গত রোববার রসুলবাগ এলাকা থেকে শ্বাসকষ্ট ও জ¦র নিয়ে ৫০ বছর বয়সী এক নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওই নারীকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তার স্বজনদের। স্বজনেরা ওই দিন ওই নারীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে না নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসেন। পরদিন ৩০ মার্চ ওই নারী আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠায়। স্বজনেরা লাশ বন্দরের বাড়িতে নিয়ে আসে। এর আগে ওই নারী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মনে করে দুই ছেলে এবং মেয়ের জামাইসহ স্বজনেরা ওই নারীকে বন্দর উপজেলার স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আইইডিসিআর এ পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, দুপুরে আইইডিসিআর এ পরীক্ষায় ওই নারীর মৃত্যু করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ওই এলাকা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, মৃত নারীর বাড়িসহ আশেপাশের একাংশ পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।