নিজস্ব প্রতিবেদক : জল আর ডাঙাই যাদের নিত্যসঙ্গী, ওদের জন্ম, বিয়ে এবং সকলের শেষ ঠিকানা যেখানে ওদেরও শেষ ঠিকানা সেখানে। নিতান্ত দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য সকলের চেয়ে ওদের পার্থক্য হলো মৃত্যুর পর তাদের নিজ নিজ প্রথা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে সমাহিত করা হয়। কিন্তু বেঁদে পরিবারগুলোর জন্ম হয় জীবন চলার পথে কখনও জলে আবার কখনও ডাঙায়। ওদের প্রথা অনুযায়ী বিয়েও হয় তাও জলে-ডাঙায় আর মৃত্যুর পর ভাসিয়ে দেয়া হয় জলে। তারা হল বেঁদে সম্প্রদায়।
এই বেঁদে সম্প্রদায়ের মাঝেও আবার একটি শ্রেণি হতদরিদ্র। জনশ্রুতি রয়েছে, দেশে যখনই কোন নির্বাচনি প্রক্রিয়া আসে তখন প্রায়শই একদল অতিথির মত নিজের পক্ষে লোক ভেড়াতে তাদের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে।
বেশ কয়েকদিন সিরাজদিখানের বালুচরে ঘুরে ঘুরে কথা হয় বেঁদে সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের সঙ্গে। কেউ কেউ আফসোস করে বলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই! কথাগুলো যেন অনেকাংশে বলার জন্য বলা।
বালুচর বাজারের নিচে একটি মাঠে একদল শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি দেখা যায। কথা হয় শিশুদের সঙ্গে। তারা জানায়, আমাদের তো আর স্কুল নেই! কি করব, নৌকায় ভেসে বেড়াই। পরিবারের আয়-রোজগার নেই, ঘুরি, ফিরি খাই।
শিশুদের পরিবারের স্বজনরা বলছে, আমরা ভোটার হইলাম এখানে, আবার ভোট দেই এখানেই। কিন্তু সুবিধা পাইনা। নির্বাচনি সময় হইলে আমাদের কাছে মেম্বার, চেয়ারম্যানরা আইসা বলে, সব দিবে ; কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আর পরে দেখা করে না।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আমরা জন্মের পর থেকেই দেখছি তারা এখানে বসবাস করছেন। কেউ কেউ এখানেই বাড়ি-ঘর করে ফেলেছেন। আবার কেউ কেউ বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে বসেছেন। আবার কেউ কিছুই করছে না, মাছ ধরছে আর বিক্রি করছে।