নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, “আজকে আমরা হাসপাতালগুলো পরিচালনায় অংশ নিতে সম্মত হলাম। তবে এটার জন্য একটু সময় দরকার হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে কত দ্রুত গতিতে সেবাটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারি। দেশে আট হাজার চিকিৎসক সংকট রয়েছে। শিগগির বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। আর সেটা আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন, “প্রাইভেট সেক্টরে দেখা যায় কোন বোর্ড মিটিং হলে সেখানে সম্মানিত বোর্ড মেম্বার যারা আসেন তাদের সম্মানি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হয়। এই কথাটা বলা হয়, যিনি গ্রামীণে (গ্রামীণ ব্যাংক, তিনি সেখানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন) কাজ করছেন, তিনি এই টাকাটা পাবেন না। যিনি গ্রামীণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, বাইরে থেকে এসেছেন তাকে এই সম্মানিটা দেওয়া হয়। মিটিং দুপুর পর্যন্ত হলে খাবারটা দেওয়া হয়, কাউকে কোন পয়সা দেওয়া হয় না।”
নূরজাহান বেগম বলেন, “এখানে এসে দেখলাম নার্সদের যে পরীক্ষা হয়, নিয়ম অনুযায়ী হওয়ার কথা ছিল- নার্সদের পরীক্ষার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত যারা খাতাটা দেখলে তারা সম্মানি পাবেন। কিন্তু দেখা গেল নার্সিংয়ের ভাগ হিসেবে আমার কাছেও চলে আসলো এক লাখ ২০ হাজার টাকার মত। আমি এই টাকাটা ফেরত দিলাম। বললাম, আমি তো এ টাকা নিতে পারি না, আমি তো পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত না। এটা হবে কেন? এভাবে দেখা যায় বিভিন্ন মিটিংয়ে একটা থোক অ্যামাউন্ট বরাদ্দ থাকে। সেটা নিয়ে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। এ বিষয়ক জোর দেওয়ার দরকার নাই, যার যার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।”
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকে সই করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের দশটি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে। এ হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে- ঢাকার রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, সিআরবি চট্টগ্রামের বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, হালিশহরের সিজিপিওয়াই (চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ড) হাসপাতাল, রাজশাহীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, সৈয়দপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, লালমনিরহাটের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, পার্বতীপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল ও সান্তাহারের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল রেলওয়ে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করবে।