আমিরুল ইসলাম নয়ন : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের বেরু মোল্লাকান্দি গ্রামে মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ফসলি জমি ভাঙ্গনের কবলে। অসময়ে নদী ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত নদীর তীরবর্তী এলাকা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে গ্রামবাসী এই অসময় ভাঙ্গনের কারণে দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের পিতা-মাতা অল্প কিছু জমি দিয়ে গেছে। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে- এ জমি আমরা রাখতে পারব না। উপায় কি, কিছু বুঝতে পারছি না। যেভাবে ভাগ দিয়েছে আমাদের গ্রামও থাকবে না, নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। যেভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটে প্রায় একসাথে ১০০ ২০০ কাটিং ড্রেজার দিয়ে বালু কাটে। এতে নদীর পাড় ভেঙে আস্তে আস্তে জমিসহ গ্রাম ভেঙে যাবে।
গ্রামবাসীর প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন, এ বিষয়ে তদারকি করে যেন একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গ্রামবাসী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় মহল না দেওয়ার জন্য একাধিকবার স্মারকলিপি দিলেও কোন কাজ হয়নি। এমনকি একাধিকবার মানববন্ধন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গ্রামবাসীর চাওয়া, তারা যেন তাদের মহলের জায়গা নির্ধারণ করে দেন। কারণ তারা মাঝ নদীতে বালু না পেলে আস্তে আস্তে তীরে চলে আসে, তখনই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর তীর।