নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভুয়া মালিক সেজে দলিল জাল করে প্রতারণা করার মামলায় ২ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ডবিধি আইনের ৪৬৮ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৪৬৭ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও উভয় ধারায় ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে অপর দন্ডবিধির ৪৭১ ধারায় আরো ২ বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার টিটিরচর গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৮) ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নেছার উদ্দিন (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ বুলবুল আহমেদ।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আসামিরা যোগসাজশে মামলার বাদি নিজাম উদ্দিন মৃধার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে সিরাজদিখান সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করে। পরে ওই দলিল দিয়ে আসামিরা সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করলে বাদি বিষয়টি জানতে পারে যে, তার নাম ও স্বাক্ষর নকল করে দলিলটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের মৃত কলন্দর মৃধা ওরফে কলমতর মৃধার ছেলে নিজাম উদ্দিন মৃধা ওরফে মিজান মাস্তান (৫৫) বাদি হয়ে ২০২২ সালে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-২ এ মামলা করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্তে আসামিদের জাল দলিলের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। মামলাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীনে থাকা অবস্থায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বাদিপক্ষের আইনজীবী আলেয়া খাতুন আলো জানান, ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আসামিরা যোগসাজশে আমার মোয়াক্কেল নিজাম উদ্দিন মৃধার সম্পত্তি হাসিল করার জন্য তার নাম ও স্বাক্ষর জাল করে সিরাজদিখান সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করে। বিষয়টি নিজাম উদ্দিন মৃধা জানতে পেরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি করে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ২ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ডবিধি আইনের ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ১২ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছি।