* আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চলমান
* তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেয়েছে পুলিশ
কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চরবানিয়াল মৌজায় অন্যের জায়গা দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দখলের সঙ্গে জড়িত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা সরকার এবং তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সম্পত্তির মালিক দেলোয়ার হোসেন আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারক গত মঙ্গলবার উক্ত সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। তথাপি আদালতের আদেশ অমান্য করে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে অভিযোগের তদন্তে গিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রাখার সত্যতা পেয়েছেন সদর থানা পুলিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, বাংলাবাজারের চরবানিয়াল মৌজার ৯৩০ নম্বর দাগে ৮৯ শতাংশ ও ৯২৯ নম্বর দাগে ৭৯ শতাংশ জায়গার মালিক দেলোয়ার হোসেন গং। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির দখল নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা সরকার এবং তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এতে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন দেলোয়ার হোসেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ এপ্রিল সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সেখানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গতকাল বুধবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে নিজে অবস্থান নিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্পত্তির মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৈতৃক সূত্রে আমি ওই জায়গার মালিক। এর মধ্যে আমার শরীকের কাছ থেকে অন্য দাগে কিছু পরিমাণ জায়গা কিনেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা সরকার। অথচ আমার ৯২৯ ও ৯৩০ নম্বর দাগের সম্পত্তিতে তারা জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এতে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্মাণ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা সরকার বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু সাংবাদিকদের জানান, জায়গাটির মালিক তারা। ১৭ বছর ধরে তারা ওই জায়গা ভোগদখলে আছেন। তাই তারা দোকানপাট নির্মাণ করছেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু জানান, শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গতকাল বুধবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।