নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চলের উওর চরমশুরা গ্রামে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের হামলায় ১০টি ঘরবাড়ি, ২টি ভবনের জানালার কাঁচ ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় আহমদুল্লাহ্ ভূইয়া (৪০) নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এতে আবার চরাঞ্চলের উওর চরমশুরা গ্রামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলা চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা গ্রামে সোহেল মিজি, রজ্জব মিজি, রঞ্জু মিজি, নিরব মিজিসহ ৩০/৩৫ জন সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় সৌদি আরব প্রবাসী আদম আলী মোল্লা, শাজাহান ভূইয়া, সাইফ আলী, হাকিম ভূইয়া, মঞ্জিল ভূইয়াসহ ১০টি বাড়িতে হামলা চালায়।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উত্তর চরমশুরা গ্রামে ঘুরে হামলায় ভাংচুরের সত্যতা দেখা গেছে। প্রবাসী আদম আলীর তালাবদ্ধ বিল্ডিংয়ের সবগুলো কাঁচের জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। শাহজাহান ভূইয়ার দোতলা বিল্ডিংয়ের গেইট ভাঙা দেখা গেছে। আর অন্যান্যদের ঘরবাড়ি, টিনের বেড়া ভাঙ্গাচুড়া দেখা যায়। ভুক্তভোগীদের বাড়িঘর পুরুষশুন্য।
প্রবাসী আদম আলীর স্ত্রী রিঙ্কি আক্তার বলেন, আমি বাড়িতে থাকি না। স্বামী প্রবাসে থাকে। তারা আগে দল করতো। তার জন্যই আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। সকালে দেখতে আসছি।
আদম আলীর বড় বোন রাহেলা বেগম বলেন, রঞ্জুরা আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে ভাংচুর করছে। আমি ওদের ভাঙতে না করেছি, ওরা শুনেনি।
ভুক্তভোগী মঞ্জিল ভূইয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। আমাদের বাড়িটি সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি হওয়ায় আমাদের ঘরে ওরা ভাংচুর করছে। এর আগে আমার ছোট ভাইকে মারধর করেছে ওরা। আমরা কি বিচার পাবো না?
ভুক্তভোগী শাজাহান ভূইয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার বলেন, ওরা আমাদের বিল্ডিংয়ের গেইট ভেঙে ভিতরে ঢুকে আমার বড় ভাই আহমদুল্লাহকে মারধর করেছে। আমাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে। এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোহেল মিজির মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরকেওয়ারে দুর্বৃত্তদের হামলায় ১০টি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
আগের পোস্ট