নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কেওয়াটখালী গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় যাওয়ার একমাত্র সড়কটি ডাক্তার রোড হিসেবে পরিচিত। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এই সড়কটি বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত। জেলার আনাচে-কানাচে সড়কগুলো পিচ ঢালাই হলেও ডাক্তার রোড নামের সড়কটি এখনও সেই মান্ধাতার আমলের ন্যায় ইটের সলিংয়ের সড়কে রয়ে গেছে। এর মধ্যে দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটির একাধিক স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়ে খানা-খন্দে ভরে আছে সড়কটি। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।
ষোলঘর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মকদম হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে ইটের সলিং করা সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তসহ খানা-খন্দে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় এ পথে চলাচলকারী শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া সড়কটি খানা-খন্দে ভরা থাকায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।
স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ষোলঘর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের কাছে এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে সড়কটি পাকা সড়কে উন্নীত করলেও সড়কটি পিচ ঢালাই করা তো দূরের কথা খানা-খন্দে ভরা সড়কটি সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেওয়াটখালী গ্রামের বাসিন্দা মুশফিকুর রহমান লেনিন।