আবু সাঈদ সৌরভ : মুন্সীগঞ্জ জেলার একমাত্র সচল স্টেডিয়াম হচ্ছে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম (মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম)। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়াম ২০১১ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম। তবে অত্যন্ত দুঃখ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ৫১ বছরেও একটি নামফলক বা সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। স্টেডিয়ামের মূল ফটকসহ কোন ফটকেই স্টেডিয়ামের নাম লেখা নেই। ন্যূনতম ৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ চালু হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ দেশের নানা প্রান্তের লোকজন এখানে খেলা দেখতে ও অংশগ্রহণ করতে আসে। সারা বছরই নানা আয়োজনে স্টেডিয়ামটি জনসমাগমে ভরপুর থাকে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে স্টেডিয়ামটি। জেলার এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া ও বিনোদন কেন্দ্রের একটি নামফলকের ব্যবস্থা করতে পারেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্টেডিয়ামের ঠিকানা দিলে অনেকেই স্টেডিয়ামের গেইটের সামনে দাঁড়িয়েই জিজ্ঞাসা করে স্টেডিয়াম কোথায়? স্টেডিয়ামের চেয়ে হরগঙ্গা কলেজ রোড বললেই বেশি চিনে মানুষ। আবার অনেকেই কলেজ রোড আসার পরে স্টেডিয়ামের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে স্টেডিয়াম কোথায় জানতে চায়। মোটা অংকের আয় নির্ভর জেলা স্টেডিয়ামের নাম মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের নাম থাকার পরেও দীর্ঘ সময়ে একটি নামফলকের ব্যবস্থা করা হয়নি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান জানান, জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনের স্থান হচ্ছে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম বা মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এর নামফলক না থাকা জেলার নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজে অধ্যয়নরত একজন ছাত্র জানায়, জেলার গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া ও বিনোদনের স্থানটির নামফলক না থাকা হতাশাব্যঞ্জক। তাছাড়া এটা একজন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের একটি জাঁকজমকপূর্ণ নামফলক থাকা দরকার ছিল।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ নাসির উদ্দিন জানান, ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক। এ বিষয়টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম বা জেলা স্টেডিয়ামের নামফলকের ব্যবস্থা করবে এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া ও বিনোদনের স্থানটির সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে -এমনটাই প্রত্যাশা।
দীর্ঘ ৫১ বছরেও নামফলক নেই জেলা স্টেডিয়ামের
আগের পোস্ট