মোঃ মোস্তফা : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে চলছে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য। এ কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকেরা। প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ। উপজেলা ভূমি অফিসের খুব কাছে ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া গ্রামে দু’টি ড্রেজার চলছে দিন এবং রাতে। লতব্দী ইউনিয়নের জমি থেকে ড্রাম ড্রেজার এবং নদীতে চলছে বাল্কহেডের মাধ্যমে। মালখানগর ইউনিয়ন, মধ্যপাড়া ইউনিয়ন, কেয়াইনসহ প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে ড্রেজার বাণিজ্য। এসব ড্রেজারের দীর্ঘ পাইপ লাইন ফসলি জমির ওপর সরকারি রাস্তার উপর দিয়ে টানা হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি ও রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে -এ বিষয়টি জেনেও ভুক্তভোগীরা কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ড্রেজার বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনকে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে দেখা গেলেও কোন তোয়াক্কা করছেন না ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন কিছু কিছু জায়গায় রহস্যজনকভাবেও চুপ থাকেন। হাউজিং কোম্পানিগুলো নির্দ্বিধায় ভরাট করে যাচ্ছেন তিন ফসলি জমি। ফসলি জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। অবৈধ হাউজিংয়ের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে কিছু অভিযান চালিয়েছে বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে হাউজিং কোম্পানি এবং ড্রেজার ব্যবসায়ীরা কথা বলতে রাজি হননি।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, ড্রেজারের বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক ড্রেজারের পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে যেখানেই অবৈধ ড্রেজারের তথ্য পাবো, সেখানেই আমরা অভিযান পরিচালনা করব।