নিজস্ব প্রতিবেদক : গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে মোট এক হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। এরইমধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সোমবার এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে এসব কর ফাঁকি উদঘাটন করা হয়েছে। নবগঠিত একটি সংস্থা হিসেবে জনবল ও লজিস্টিকসহ নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এনবিআর জানায়, প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই হৃত রাজস্ব পুনরুদ্ধার ও কর ফাঁকি চিহ্নিতকরণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। আইনানুগ ও ন্যায্য রাজস্ব আদায়ে সংস্থাটি একটি বলিষ্ঠ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিকভাবে কর দেওয়ায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর ফাঁকিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিচ্ছে। যেকোনো ধরনের কর ফাঁকি ও বেনামি সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইনের আওতায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে ইউনিটটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নৈতিক, প্রযুক্তিগত ও আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের যাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন পর্যন্ত অর্জিত সাফল্য প্রমাণ করে, এই ইউনিট কেবল রাজস্ব পুনরুদ্ধারই নয়, বরং কর সংস্কৃতি বিকাশ ও করদাতাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা (কমপ্লায়েন্স) বাড়াতেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে।