নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ থেকে লুন্ঠিত বালুবাহী একটি বাল্কহেড বরিশাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় লুন্ঠন ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের সঙ্গে জড়িত বাল্কহেডের মিস্ত্রি বেল্লাল (৩৫) ও তার সহযোগী মোঃ সবুজ ওরফে টগর (৩৫) নামের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকার উত্তরা ও বরিশাল জেলা থেকে নৌপুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যে, গত ১০ জুলাই বরিশালের দুর্গম নদী থেকে অপহরণ করা বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল নৌপুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৭ জুলাই ভোরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানাধীন মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ওরফে লিটনের মালিকানাধীন বাল্কহেডে সুকানি মোঃ আক্তার হোসেন খান (৫০) ও মিস্ত্রি বেল্লাল (৩৫) সিমেন্ট লোড করে ঢাকার আমিনবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে তারা গন্তব্যস্থলে না গিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বাল্কহেডটি নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা অজ্ঞাত অপহরণকারী সেজে উল্লেখিত সুকানি ও মিস্ত্রিকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে বাল্কহেড মালিকের কাছে সংবাদ পাঠায় এবং বাল্কহেড ও অপহৃত দু’জনের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই এমন সংবাদ পেয়ে নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ানের নির্দেশনায় এসপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌপুলিশের একাধিক টিম দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে সোর্সের দেওয়া তথ্যে ঢাকার উত্তরা থেকে বাল্কহেডের মিস্ত্রি বেল্লালকে এবং সহযোগী মোঃ সবুজ ওরফে টগরকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বরিশাল জেলার দুর্গম নদী থেকে লুট করা বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার দায় স্বীকার করেন এবং তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা বলেন, মূলত বাল্কহেডটি কেটে বিক্রি করে দেওয়া এবং মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যে তারা বরিশালের দুর্গম এলাকায় বাল্কহেডটি নিয়ে যায় এবং নিজেরা অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে।
এ বিষয়ে বাল্কহেডের মালিক আব্দুল্লাহ আল ফারুক ওরফে লিটন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ চাঁদা দাবির অপরাধে একটি নিয়মিত মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে নৌপুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।