আমিরুল ইসলাম নয়ন : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা অনুমোদন না নিয়েই বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে একটি চক্র। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে বালু ভরাট চলমান।
সরেজমিনে উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের নতুন রাস্তা সংলগ্ন ভাটেরচর মৌজায় দেখা যায়, বালু ভরাট করে জায়গাটি দখল করে নিয়েছে ঐ চক্র।
জানা যায়, বড়ইকান্দী ভাটেরচরের আবু বক্কর মোল্লার কাছ থেকে ভাটেরচর মৌজায় বিএস, ৪৪৮০, ৪৪৮১ ও ৪৪৮২নং দাগে সাড়ে তেইশ শতাংশ জমি ক্রয় করেন চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা জনৈক মোহাম্মদ বদিউল আলম। জমি ক্রয় করার পর থেকেই স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে রাতারাতি বালু ভরাট শুরু করেন। নিজের ক্রয়কৃত সাড়ে তেইশ শতাংশ ভরাট করতে গিয়ে সাথে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় এক-দেড় বিঘা জমিও বালু ভরাট করে দখল করে তারা। যার ন্যূনতম বাজারমূল্য ৭-৮ কোটি টাকা।
স্থানীয় বাড়ৈকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আলী হোসেন বলেন, মাত্র ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে সরকারি প্রায় দুই বিঘা জমি ভরাট করে দখল করে নিলেও এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এটা হতাশাজনক বিষয়। এভাবে মহাসড়কের পাশে জমি দখল কোনভাবেই কাম্য না।
স্থানীয় যুবক মুক্তার হোসেন জানান, গত ক’দিন পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে যান। তারপর থেকে তারা রাতের আঁধারে বালু ভরাট করছে। দিনের বেলা ড্রেজারের পাইপ খুলে রাখে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ বদিউল আলমের মেয়ের জামাই স্থানীয় দলিল লেখক মাসুম বিল্লাল বলেন, আমরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাছে বন্দোবস্ত চেয়ে আবেদন করেছি। আশা করি, দ্রুত অনুমোদন পেয়ে যাব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও যদি কাজ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আঃ রহিম বলেন, আমরা কাউকে অনুমোদন দেইনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।