নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যাওয়া শরীয়তপুরের নড়িয়ার বৃদ্ধের (৯০) সংস্পর্শে আসা নয়জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাদের নমুনা পরীক্ষার পর এ কথা জানিয়েছে। ৪ এপ্রিল ওই বৃদ্ধ মারা যান। তার মৃত্যুর পর নড়িয়ায় তার বাড়িসহ ৩৫টি বাড়ি ও একটি বাজার লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। তার সংস্পর্শে এসেছিলেনÑএমন নয় ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠিয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। জানতে চাইলে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যে নয় ব্যক্তি এসেছিলেন, তাদের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ওই নয়জন ছিলেন তার পরিবারের সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মী। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তিকে তার স্বজনেরা ১ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার সমস্যার কথা শুনে মনে হয়েছিল, তিনি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কোনো সমস্যায় আক্রান্ত। তাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার করা হয়। স্বজনেরা সেখানে তাকে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাকে মহাখালীর বক্ষব্যধি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল তিনি মারা যান। ওই ব্যক্তির এক ছেলে কয়েক মাস আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। তিনি মাসখানেক আগে ঢাকার মিরপুরে ছেলের বাসায় বেড়াতে যান। গত ২৬ মার্চ তিনি নড়িয়ায় ফেরেন। তিনি ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।