নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতে ১০ টাকা কেজির চাল দেওয়ার জন্য আরও ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ১০ টাকায় চাল দিতে ৫০ লাখ মানুষের রেশন কার্ড করা আছে। আরও ৫০ লাখ রেশন কার্ড করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের নয় জেলার মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন সরকারপ্রধান।
ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার সরকারি কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে দুর্ভিক্ষ হলে কিভাবে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সারাবিশ্বের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব আজ একটা জায়গায় চলে গেছে। অর্থনীতেতে এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে কিছুটা ধাক্কা আমাদের দেশে আসে। এজন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান বাতিল করি। জনসমাগম বাদ দিতে এসব করেছি আমরা।
সরকারপ্রধান বলেন, যেহেতু সবকিছু এখন বন্ধ। অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। যারা দিনমজুর কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি নিম্নবিত্তদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। সবাইকে সহযোগিতা করব।
‘এমনকি যারা হাত পেতে খেতে পারবেন না, তাদের জন্য ১০টাকা কেজিতে চাল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখন আমাদের ৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন করা আছে, যারা ১০ টাকায় চাল পান। আমরা আরও ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেব, তবে এমনি দিতে গেলে অনেক সময় সমস্যা হয়ে যায়। আমরা তালিকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
নয় জেলার মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত। অন্যান্য জেলায়ও কিছু আছে কিন্তু ঢাকা এবং এর আশপাশে ভাইরাস কেন এত বেশি হলো। এটি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই।
সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে ডাক্তার-নার্সসহ সবাই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কাজ করে যাচ্ছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে জাতির ক্রান্তিলগ্নে তারা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া যারা এখন চিকিৎসারত আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।