নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ থেকে সংগ্রহ নমুনার নিয়মিত পরীক্ষার ফলাফল আইইডিসিআর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে জেলাবাসীর মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে ৭৫১ জনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ফলাফল আসে ৫৪৪ জনের। এতে ৭৯ জনের ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। গত ২৬ তারিখ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চারদিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২০৯টি নমুনা পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। এই ২০৯ জনের নমুনার ফলাফল আজও হাতে পায়নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে আইইডিসিআরের ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে মুন্সীগঞ্জ জেলার করোনা রোগীর সংখ্যা ১০৯ জন।
নমুনার ফলাফল নিয়মিত আসছেনা, তার কারণে জেলার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জেলাবাসী শঙ্কার পাশাপাশি পড়েছে বিড়ম্বনায়। অপরদিকে গড়মিল রয়েছে আইইডিসিআর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টেও। আইইডিসিআর তাদের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত রিপোর্টে জেলায় ১০৯ জন দেখালেও জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ দেখাচ্ছেন ৭৯ জন। এতে করে ৩০ জন আক্রান্ত রোগীর গরমিল রয়েছে।
অন্যদিকে করোনা রোগীর পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই মুন্সীগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এ জেলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে নেই কোন ভেন্টিলেটশনের ব্যবস্থা। এমনকি আইসিইউ কিংবা সিসিইউ পর্যন্ত নেই। শুধুমাত্র অক্সিজেনের সামান্য ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টারটি। এই আইসোলেশ সেন্টারে ৪ জন ডাক্তার, ৪ জন নার্স এবং একজন আয়া ১০ দিনের জন্য চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। এরপর তাদেরকে জেলা ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কোন রেজাল্ট পাইনি। আগে ৭৯ জনেরটা পেয়েছি। পরে বুধবার বিকাল থেকে আইইডিসিআরের ওয়েব সাইটে ১০৯ দেখাচ্ছে সেইটার এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র পাইনি। গত ২৬ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত এই ৪ দিনের রেজাল্টগুলো এখনও পেন্ডিং আছে। আমরা মোট ৭৫১টি নমুনা পাঠিয়ে ৫৪৪টির ফলাফল হাতে পাই। এর মধ্যে ৭৯ জনের করোনা পজিটিভ আসে। আইইডিসিআরের ওয়েব সাইটে দেখানো তথ্য এখনও হাতে পাইনি, পেলে আমরা জানাবো।