বন্ধ থাকবে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌ চলাচল
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বুধবার (১০ই জুন) পদ্মা সেতুর ২৫ ও ২৬নং পিয়ারে বসানো হবে ৩১তম স্প্যান ‘৫-এ’। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৪ হাজার ৬শ ৫০ অর্থাৎ সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি অংশ। ৩০ তম স্প্যান বসানোর ১০ দিনের মাথায় ৩১ তম স্প্যানটি বসানো হবে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৗশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের মুন্সীগঞ্জের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমের জন্য এদিন পদ্মায় বেলা ১১টা থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, ১১ই জুন স্প্যানটি বসানো হবে বলে পূর্বে জানানো হয়েছিলো। তবে এদিন আবহাওয়া অনুকূলে নাও থাকতে পারে বলে একদিন আগেই স্প্যানটি বসানো হচ্ছে। বুধবার সকাল ৮টায় মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩১ তম স্প্যানটি নির্ধারিত ২টি পিয়ারের কাছে রওনা হবে। দুপুরে স্প্যানটি পিয়ারের কাছে পৌঁছে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে একইদিন বিকালে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে, চীন থেকে পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয় মালামালের সর্বশেষ চালান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে গত ১৪ই মে। যা আগামী ১৫ই জুন মাওয়া এসেছে পৌঁছবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩০টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।