আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিয়েভ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ এপ্রিল) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এসময় ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, লড়াই চালিয়ে যেতে আরও ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা পাবে ইউক্রেন।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ অর্থ সহায়তার অর্ধেকই পাবে ইউক্রেন এবং বাকিটা পাবে ন্যাটো সদস্যসহ অন্যান্য আঞ্চলিক মিত্ররা। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর এটিই মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের প্রথম সফর।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সহায়তার কিছু চালান ইউক্রেনে এরই মধ্যে পৌঁছেছে। বাইডেন প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার প্রত্যাশিত ‘বৃহত্তর আক্রমণ’ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা নতুন অস্ত্র এই সামরিক সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ না করলে ‘অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়ার পুতিন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা একমাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। জাতিসংঘের হিসাবে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা