নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকার বাইরে কাউকে যেতে কিংবা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিলো না। তবে সেই অবস্থা অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ঈদে বাড়ি ফিরতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহনে আসা-যাওয়া করা যাবে। কিন্তু পাবলিক পরিবহন চলবে না। এরই মধ্যে ঢাকার দুই প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদের দু’দিন বাকি থাকতে হঠাৎই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
মঙ্গলবার পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা থেকে কাউকে বের হতে কিংবা বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেউ বের হবার চেষ্টা করলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকেও কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তারপরও অনেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে চেষ্টা করেন। তবে আমিনবাজার এবং যাত্রাবাড়িতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে গিয়ে তা দমন করে। জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া কাউকে ঢাকায় ঢুকতে কিংবা বের হতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরও অনেকে পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে রওনা হয়। বর্তমানে ব্যক্তিগত যানবাহনে আসা যাওয়ার বাধা কাটল।
জানা গেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় রাজধানীর গাবতলী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচলে বাধা দেয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে গাবতলীতে পুলিশের দুটি চেকপোস্ট ‘ইন’ ও ‘আউট’ তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও সেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাহফুজা আফরোজ লাকী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ি যেমন কার বা মাইক্রো চলাচলে শিথিলতা করা হয়েছে। তবে পাবলিক পরিবহন চলতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে অনেকে হেঁটে যাচ্ছেন তাতেও বাধা নেই।
রাজধানীর আরেক প্রান্ত যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, চেকপোস্ট আছে তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।
ঈদে ব্যক্তিগত গাড়িতে ফেরা যাবে বাড়িতে
আগের পোস্ট