নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের ইনডোর স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত আধুনিক এই স্টেডিয়ামটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা (সুইমিংপুল সংস্কার ব্যয় সংযুক্ত)। এতে ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবলসহ সকল ধরণের ইনডোর খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেডিয়ামটিতে আসন সংখ্যা ৪ শত। এছাড়া স্টেডিয়ামটিতে শরীরচর্চার জন্য জিম (ব্যায়ামাগার) থাকছে। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে নির্মিত স্টেডিয়ামটি জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে হস্তান্তরের পরই এটি ব্যবহার শুরু হবে বলে জানান ক্রীড়া পরিষদের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মির্জা হেদায়েতুল ইসলাম। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নবনির্মিত আধুনিক স্টেডিয়ামটি এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। পরিস্থিতি ভালো হলে যেকোন সময় মন্ত্রণালয় চাইলে স্টেডিয়ামটি বুঝে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নবনির্মিত স্টেডিয়ামটির কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে ক্রীড়াঙ্গণ সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি জানান।
এ নিয়ে কথা হলে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মির্জা হেদায়েতুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ই মুন্সীগঞ্জে ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, সুইমিংপুলের শেড ও গ্যালারী নির্মাণ, টেনিস কমপ্লেক্স নির্মাণ ও মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
নির্মাণ কাজের ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযোগটি মোটেও ঠিক নয়। মুন্সীগঞ্জে ইনডোর স্টেডিয়ামের কাজটি একটি ইউনিক (অনন্য) কাজ হয়েছে। সবরকম সুযোগ সুবিধা এটিতে রয়েছে। তবে নির্মাণে কিছু ত্রুটি আমরাই দেখেছি। সেটিও ঠিক করা হয়েছে ইতিমধ্যে। পুরোপুরি প্রস্তুত করেই এটি হস্তান্তর করা হবে। আধুনিক স্টেডিয়ামটির ডিজাইন (নকশা) করেছে ডিজাইনার প্রতিষ্ঠান আরটেক। আর নির্মাণ ঠিকাধার প্রতিষ্ঠান রানাওয়ার্ক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে জানান, এখনো জেলা প্রশাসনের কাছে এটি হস্তান্তর হয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা জুড়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। তাই এখন স্টেডিয়ামের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে না। নির্মাণ অসন্তোষের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। এমন কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই যাচাই করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে ঠিক করে তারপরই বুঝে নেওয়া হবে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে মুন্সীগঞ্জে ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, সুইমিং পুলের শেড ও গ্যালারী নির্মাণ, টেনিস কমপ্লেক্স নির্মাণ ও মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ শুরু হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এসব কাজের জন্য মোট বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।