ক্রীড়া ডেস্ক
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর আর ২২ গজে দেখা যায়নি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। খেলার বাইরে কখনও তিনি যোগ দিয়েছিলেন সেনা বাহিনীর ট্রেনিংয়ে আবার কখনও সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে, মেয়ের সঙ্গে মেতেছেন খেলায়। কথা ছিল ২০২০ সালের আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংস-এর জার্সিতে ফের দেখা যাবে ক্যাপ্টেন কুলকে। কিন্তু করোনা থাবা বসানোয় সে সম্ভাবনাও বাতিল হয়ে যায়। এরই মধ্যে বারবার উঠে এসেছে একটাই প্রসঙ্গ- কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। ঘুরে ফিরে এসেছে নানা জল্পনা। কিন্তু এসবের মধ্যে মুখে কুলুপ এঁটেই থেকেছেন ধোনি। মঙ্গলবার ৩৯-এ পা দিলেন মাহি। আর তারপরই ধোনির ম্যানেজার মিহির দিবাকর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট তারকারা এখনই অবসর নিয়ে কিছুই ভাবছেন না। মিহিরের মতে এখনও ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার মতো সময় আসেনি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিহির দিবাকর জানিয়েছেন, ‘আমরা খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু আমরা কখনও ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করি না। তবে ওকে কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায় অবসর নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই করেনি। আইপিএল খেলা নিয়ে খুবই প্রত্যয়ী ধোনি। এর জন্যে কঠোর পরিশ্রম করেছে ও। মনে করে দেখুন, আইপিএল শুরু হওয়ার এক মাস আগেই চেন্নাই পাড়ি দিয়েছিল মাহি। তবে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় ফিরে আসতে হয়েছিল ওকে।’ অন্যদিকে আইপিএল যেভাবেই হোক আয়োজন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ফলে ধোনিকে ফের একবার বাইশ গজে দেখার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আইপিএল হলে যাতে ফিটনেস তার খেলায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে, তারদিকেও কড়া নজর রেখেছেন মাহি। নিয়মিত শরীর চর্চায় নিজেকে ঝরঝরে রেখেছেন তিনি। নিজের ফার্মহাউসেই চলছে শরীর চর্চা।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ সারা ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেখানে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর ব্যাপারে অনেক কিছুই বলেছেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ধোনি স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, ‘এটা হয়তো কেউই স্বীকার করতে চাইবে না যে যখন সে ব্যাট করতে নামে, প্রথম পাঁচ থেকে দশটা বল খেলার সময় হৃদস্পন্দনের গতি একটু তীব্রই থাকে। চাপটা অনুভব করে। পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একটু ভাবনা-চিন্তা করে। এটা কিন্তু আমারও হয়। আমিও চাপে থাকি। কিছুটা আতঙ্কিতও থাকি।’
এখনই অবসর নিয়ে ভাবছেন না ধোনি
আগের পোস্ট