করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হওয়ার খবর গুজব- সিভিল সার্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হওয়ার খবর গুজব বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ। এদিকে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরতদের মধ্যে ৪৭৬ জনকে নির্দিষ্ট সময় (১৪দিন) শেষ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, গতকাল বুধবার নতুন করে মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলায় প্রবাস ফেরত কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এদিন মোট ১৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর মধ্যে গজারিয়া উপজেলায় ৪ জন, সদর উপজেলায় ১৪ জন, লৌহজংয়ে ৯ জন, শ্রীনগরে ২৪ জন, টঙ্গীবাড়ীতে ৪২ জন ও সিরাজদিখানে ৬৫ জন। তবে হোম কোয়ারেন্টানে থাকা ও সময় সম্পূর্ন করা ব্যক্তিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে সিভিল সার্জন জানিয়েছিলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে ৩ তলা পর্যন্ত বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে সেখান ৫০-১০০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা যাবে। তবে পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে পুরো ৬ তলা ভবন ব্যবহার করা হবে। সেখানে ১ শত ৫০ জনকে রাখা যাবে। একইসাথে প্রতি উপজেলায় ৫ বেডের ও মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৬ বেডের আইসোলেশন সেন্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় পর্যাপ্ত পিপিই ব্যবস্থা রয়েছে। এ পর্যন্ত ১২শত পিপিএ এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে ৫ শতাধিক বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় জানিয়েছিলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সার্বিকভাবে জেলায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ পর্যন্ত আইন অমান্যকারী ১৭ জনকে মোট ২ লক্ষ ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ই মার্চ বিদেশ ফেরত ৪৬ জনকে, ১৭ই মার্চ ৭০ জনকে, ১৮ই মার্চ ৮৫ জনকে, ২০ মার্চ ২৯১ জনকে ও ২১ মার্চ ২৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।