নিজস্ব প্রতিবেদক
সংক্রামক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৭০৯ জন মারা গেলেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ জন। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। নাসিমা জানান, ৮০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯টি। পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৯৮টি। এতে ৩ হাজার ৫৭ জন শনাক্ত হন। গত ২ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত ১ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। এতে ৩ হাজার ৬৮২ জন শনাক্ত হন। আর গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। দেশে ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছেন বিপুল মানুষ। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৭ জন মানুষ সুস্থ হলেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১ জন মারা গেছেন বলে জানান নাসিমা। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ২ হাজার ৭০৯ জনের। এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৮ জন পুরুষ ও ৫৭১ জন নারী করোনায় মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ১৩২০ জন, চট্টগ্রামে ৬৮৮, খুলনায় ১৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১০০ জন, সিলেটে ১২৫ জন, ময়মনসিংহে ৫৮ জন, রংপুরে ৯১ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১৪৯ জন মারা গেছেন। নাসিমা আরও জানান, ঢাকা মহানগরীর আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৬৮ জন, চট্টগ্রামে ২২ জন। সারা দেশের অন্যান্য জায়গায় আইসিইউতে আছেন ৯২ জন। ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৫৭
আগের পোস্ট