নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌসুমের শুরুতেই গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড়ে জমে উঠেছে তরমুজের পাইকারি হাট। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে তরমুজ একটি উল্লেখযোগ্য ফল। ফলটির বাহিরে সবুজ, ভেতরে লাল আর বীজগুলি কালো চ্যাপ্টা। তরমুজ বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই প্রচুর পরিমাণে জন্মে। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে তরমুজ খুব বেশী পাওয়া যায়। তরমুজের মন কাড়া রং আর রসালো মিষ্টি স্বাদের জন্য সবার কাছে এ ফলটি অত্যন্ত প্রিয়। গরমের সময় তরমুজ আহারে দেহ মনে প্রশান্তি আনে। শুধু তাই নয়, পুষ্টি গুণে ভরা তরমুজ দেহের পুষ্টি চাহিদা দ্রুত পূরণ করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। গজারিয়া একদিকে রাজধানী ঢাকা ও অন্যদিকে কুমিল্লা শহরের নিকটবর্তী ও মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বছরের মৌসুমি ফল তরমুজ, বাঙ্গি, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি ওঠার আগ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারীরা এ বাজারে আসে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত পাইকারী ও খুচরা বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ভরা মৌসুমে শুধু এ বাজারটিতে গড়ে প্রতিদিন ১৫০০০ (পনেরো হাজার) পিস তরমুজ আমদানি-রপ্তানি হয়। বড় আকৃতির ১০০ পিস তরমুজ ১৮-২০ হাজার টাকা, পাঁচ কেজি ওজনের ১০০ পিস ১০-১২ হাজার টাকা ও তার নিচের ওজনের তরমুজগুলো পাঁচ-ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে বিক্রয় করছেন বেপারীরা। বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন জানান, গত বছরের শুরু থেকে মহামারি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে আড়ৎদার ও পাইকারী তরমুজ ব্যবসায়ী আতিক সুমন বলেন, বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী থেকে প্রতিদিন ৭/৮ ট্রলার তরমুজ এ বাজারে আসে। এখানে আনার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করে ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে নিয়ে যায়।
গজারিয়ায় জমজমাট মৌসুমী ফল তরমুজের হাট
আগের পোস্ট