নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। যার মাধ্যমে প্রায় আট হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতিকনগর, বালুয়াকান্দী, শান্তিনগর, কাজীরগাঁও, বড় রায়পাড়া, ছোট রায়পাড়া, আড়ালিয়া, মুদারকান্দি গ্রামের প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটো লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চলে। এসময় অভিযান চলাকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিষ্ট্রেট জি এম রাশেদুল ইসলাম, তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম, সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মেজবাউর রহমান, মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।
জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি খাবার হোটেলকে ১০ হাজার টাকা ও ইলিয়াস হোসেন (৬৫) নামে একজন আবাসিক গ্রাহককে ১০ হাজার টাকা আর্থিক দন্ড প্রদান করা হয়।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাইন দুটি খুঁজে বের করেন তারা। বালুয়াকান্দি থেকে মুদারকান্দি পর্যন্ত একটি লাইন যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৬ কিলোমিটার তার মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজারের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু ছিল। অন্যদিকে বালুয়াকান্দি আতিকনগর থেকে বালুয়াকান্দি গ্রাম পর্যন্ত আরেকটি লাইন যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার তার মাধ্যমে অন্তত ১ হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল। এই দুটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলার আরো কিছু জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এদিকে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এই এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ সংযোগ বৈধ করে নিলেই তো সরকারের রাজস্ব বাড়বে। দেশের নাগরিক হিসেবে গ্যাস ব্যবহার তাদের নাগরিক অধিকার।