নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৭ থেকে ৮টি গ্রামের জনগণ ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগছে। অপরদিকে প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি ছাড়া খালের উপরে একাধিক নতুন নতুন ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার বৈদ্যারগাঁও কবরস্থান রাস্তার মাথায় উজির আলী খালের উপরে ২৪ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রীজ, চরপাতালিয়া গ্রাম হতে পৈকারপার গ্রামের সংযোগ অসমাপ্ত রাস্তার খালের উপরে ৩৪ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রীজ এবং শ্রীনগর গ্রামের শেষ মাথায় রাস্তাবিহীন খালের উপরে নেইম প্লেট ছাড়া একটি ব্রীজ নির্মাণ করেছে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এলাকাবাসীর অভিযোগ উল্লেখিত ৩টি ব্রীজ বর্তমানে গজারিয়ার জনগণের কল্যাণে আসছে না। অপর দিকে জনদুর্ভোগ ও দূর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে শত শত সিএনজি, মিশুক, অটোরিক্সা এবং হাজার হাজার নারী-পুরুষ প্রতিদিন চলাচল করছে, রসুলপুর ও কাউনিয়াকান্দি ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে। রসুলপুর গ্রামের তপন দর্জি, মোঃ মজিবুর রহমান এবং দোলপুর গ্রামের বজলুর রহমান বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় আছে এই ব্রীজ। এখান থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে আছে উপজেলা পরিষদ, একটি সরকারি কলেজ, একটি মাধ্যমিক পর্যায় মাদরাসা। ৭ /৮ টি গ্রামের জনগণ এ ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে এ পথে চলাচল করছে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে লোহার এঙ্গেল দিয়ে কিছুটা চলাচল উপযোগী রাখা হয়েছে। সরকার প্রতিবছর নতুন নতুন ব্রীজ করছে যা মানুষের উপকারে আসে না। পিকআপ চালক জাকির, মিশুক চালক আকাশসহ ৮ থেকে ১০ জন জানান, কাউনিয়াকান্দি ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে পারাপার খুবই ঝুকিপূর্ণ।
ব্রীজের মাঝখানে ভাঙ্গা থাকায় গাড়ী পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
সিএনজি, মিশুক ও অটোরিক্সাচালকদের উদ্যোগে ভাঙ্গা মেরামত করে চলাচল করছে ৩ থেকে ৪ শত সিএনজি। চলাচলের মাঝে মাঝে গাড়ী উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এমন কিছু ব্রীজ আছে রাস্তা নেই। অপরদিকে কয়েকটি জরাজীর্ণ ব্রীজ আছে সংস্কার হচ্ছে না। এ ব্রীজগুলো বিভিন্ন অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দে নির্মাণ করা হয়। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর যে ব্রীজ বরাদ্দ দেয় তা এলজিইডি রাস্তায় করা যায় না। গজারিয়ায় যে ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ব্রীজ আছে তা এলজিইডি থেকে করা। তিনি আরও বলেন, এলজিইডির কিছু রাস্তা আছে যেখানে অনেক জনগণের চলাচল আছে। সে ভাঙ্গা ব্রীজ না করে কম গুরত্বপূর্ণ স্থানে ব্রীজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকোশলী আরজুরুল হক বলেন, কাউনিয়াকান্দি মাদরাসা সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজ ইমামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ৭/৮ মাস আগে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের পিডি বরাবর ব্রীজের ইষ্টিমিট পাঠাই। এখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে। রসুলপুর ভাঙ্গা ব্রীজে ষ্টিল প্লেট দেয়া আছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নেইম প্লেট টাঙ্গানো ছিল। নতুন ব্রীজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত দুই বছরে বাঘাইকান্দি, গুয়াগাছিয়া, আড়ালিয়া এবং ভবেরচরে একটি করে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।