নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ভাঙনে তিন ফসলি জমি বিলীন হতে চলেছে আর আতঙ্কে আছে নদী তীরবর্তী শত শত মানুষ। গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরের ভাঙ্গন ঠেকাতে নানা রকমের ব্যবস্থা নিয়েও রেহাই পাচ্ছে না হোসেন্দী গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। সম্প্রতি তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মানববন্ধন করে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী গ্রাম। অনেকদিন যাবৎ প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে আবারো জোর দাবি জানায়। গ্রামবাসীর প্রত্যাশা খুব দ্রুত গজারিয়ার হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেঘনা নদীর ভয়ানক ভাঙ্গনের হাত থেকে ভিটেমাটি রক্ষা করা। আপাতত নদীর একপাশ অর্থাৎ চরের পাশে ড্রেজিং করে অন্যপাশে নদী গভীর করে চর থেকে বালি এনে গ্রামের তীর ভরাট করে দিয়ে নদীর স্রোতধারার গতিপথ পরিবর্তন করলে গ্রামটির ভাঙ্গন কিছুটা রোধ হবে।
ভুক্তভোগী মোঃ জামাল মিয়া জানান, আমি ৪ বছর যাবত ১১ শতাংশ জমি বালি দিয়ে ভরাট করে বাড়ি তৈরী করি। কিন্তুু ভাঙ্গনের কারণে এখন বাড়িটার ১১ শতাংশের জায়গায় ৬ শতাংশই বিলীন। জোর দাবি জানাই, আমাদের হোসেন্দী আশ্রাব্দী নদী ভাঙ্গনের দিকে একটু নজর দেন। দয়া করে যাতে আমার মতো আর কাউকে ভিটাবাড়ি হারাতে না হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন জানান, প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প যা উপজেলা প্রশাসন থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উপজেলা প্রশাসন থেকে পত্র পাঠিয়েছি। আর একটি দাবি উঠেছে এসেছে নদীর গতিপথ পাল্টানোর জন্য ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ পরির্বতন করার। তাদের ওই দাবিটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে মেঘনার শাখা নদীর ভয়ানক থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে বারবার নিজেদের ভিটামাটি রক্ষার চেষ্টা করেও মেঘনার ভয়ানক থাবার কাছে তারা নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। হোসেন্দী এলাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত মেঘনার শাখা নদীর পাশে গড়ে উঠা আশ্রাব্দী গ্রামটি ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে অনেক বছর ধরে। শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গজারিয়ায় মেঘনা নদীগর্ভে ফসলি জমি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ভাঙনে তিন ফসলি জমি বিলীন হতে চলেছে আর আতঙ্কে আছে নদী তীরবর্তী শত শত মানুষ। গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরের ভাঙ্গন ঠেকাতে নানা রকমের ব্যবস্থা নিয়েও রেহাই পাচ্ছে না হোসেন্দী গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। সম্প্রতি তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মানববন্ধন করে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী গ্রাম। অনেকদিন যাবৎ প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে আবারো জোর দাবি জানায়। গ্রামবাসীর প্রত্যাশা খুব দ্রুত গজারিয়ার হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেঘনা নদীর ভয়ানক ভাঙ্গনের হাত থেকে ভিটেমাটি রক্ষা করা। আপাতত নদীর একপাশ অর্থাৎ চরের পাশে ড্রেজিং করে অন্যপাশে নদী গভীর করে চর থেকে বালি এনে গ্রামের তীর ভরাট করে দিয়ে নদীর স্রোতধারার গতিপথ পরিবর্তন করলে গ্রামটির ভাঙ্গন কিছুটা রোধ হবে।
ভুক্তভোগী মোঃ জামাল মিয়া জানান, আমি ৪ বছর যাবত ১১ শতাংশ জমি বালি দিয়ে ভরাট করে বাড়ি তৈরী করি। কিন্তুু ভাঙ্গনের কারণে এখন বাড়িটার ১১ শতাংশের জায়গায় ৬ শতাংশই বিলীন। জোর দাবি জানাই, আমাদের হোসেন্দী আশ্রাব্দী নদী ভাঙ্গনের দিকে একটু নজর দেন। দয়া করে যাতে আমার মতো আর কাউকে ভিটাবাড়ি হারাতে না হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন জানান, প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প যা উপজেলা প্রশাসন থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উপজেলা প্রশাসন থেকে পত্র পাঠিয়েছি। আর একটি দাবি উঠেছে এসেছে নদীর গতিপথ পাল্টানোর জন্য ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ পরির্বতন করার। তাদের ওই দাবিটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে মেঘনার শাখা নদীর ভয়ানক থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে বারবার নিজেদের ভিটামাটি রক্ষার চেষ্টা করেও মেঘনার ভয়ানক থাবার কাছে তারা নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। হোসেন্দী এলাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত মেঘনার শাখা নদীর পাশে গড়ে উঠা আশ্রাব্দী গ্রামটি ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে অনেক বছর ধরে। শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।