নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের একাধিক জেলায় অপ্রত্যাশিতভাবে বন্যা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে বন্যার এ আগমনকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে মানুষের জীবনযাপন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। আয়-রোজগার কমে গিয়ে মানুষের বিপদ-আপদ বেড়েছে বহুগুণ। বানভাসি মানুষের এ দুরবস্থা দেখে মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের বিবেকবান মানুষই এগিয়ে এসেছে। তারই সাথে সাথে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও অন্যান্য সেবা চালু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দি সমাজকল্যাণ সংঘ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গ্রামবাসী এবং একই উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চরচাষী ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ ও গ্রামবাসীর যৌথ উদ্যোগে ৫০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ উপহার এবং বন্যার্তদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলাধীন বিপুলাসার বাজার সংলগ্ন জাওড়া নামক একটি স্থানে এ আয়োজনে গজারিয়ার দুই কৃতি সন্তান মুন্সীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. এম এ হালিম এবং ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামিম মেডিকেল ক্যাম্পেইনে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। রেকর্ডসংখ্যক ৫১৬ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। এসময় স্থানীয় ‘জাওড়া পশ্চিমপাড়া নবসূর্যোদয় যুব সংঘ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গজারিয়া থেকে সেখানে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সেইসাথে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিও তারা সুন্দরভাবে শেষ করেন। এ এলাকাগুলোতে গত ৩৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম প্রলয়ঙ্করী বন্যা দেখা দিয়েছে। যার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হয়েছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।