নিজস্ব প্রতিবেদক
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশীয় গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছেন এসব হাটে। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর পশু মোটাতাজা করায় অধিক খরচ হলেও গত বছরের চেয়ে কম দাম চাওয়া হচ্ছে পশুর। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বেপারীরা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। উপজেলায় গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর অস্থায়ী ৬টি হাট। এ বছর উপজেলায় ৬টি হাটের মধ্যে ৪টি হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। হাটগুলো হচ্ছে ক্ষেতেরপাড়া বাসস্ট্যান্ড, মাওয়া, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ও লৌহজং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ। হাট কমিটি জানান, এই হাটগুলোতে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু এনেছে হাটগুলোতে। তাই জমতে শুরু করেছে উপজেলার হাটগুলো। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, ক্ষেতেরপাড়া, মাওয়া পশুর হাটে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু বেচাকেনা চলছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু বিক্রেতা মো. নাসির ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রয়ের জন্য। তিনি জানান, প্রতিবছর এই হাটে আসি। গতবছর থেকে এবার গরুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় গরু মোটাতাজা করতে খরচ বেশি পড়েছে। বিক্রেতা মো. জামাল জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে আমরা গরু মোটাতাজা করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। তাই কোরবানির হাটে পশুগুলোর দাম একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি গরুর দাম দেড় লাখ চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম বলেন ৮০-৯০ হাজার, আর যদি এক লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা বলেন ৬০-৭০ হাজার। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান। ক্ষেতেরপাড়া গাংচিল বাসস্ট্যান্ড হাট ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বেপারী জানান, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা হচ্ছে। এই হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। আগামী দু’দিনে প্রচুর পরিমাণে গরু আসবে।