নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাট-বালিগাঁও গ্রামে এক কলেজছাত্রের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত কলেজছাত্র শাহাদাত অনন্ত টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হামলার ঘটনায় ওই কলেজছাত্রের মা নুরজাহান বেগম গ্রাম্য মাদবরদের কাছে বিচারের জন্য দৌড়ঝাপ করায় তাকেও হুমকি দিচ্ছে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে গত শনিবার গভীর রাতে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার হাট-বালিগাঁও গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে টঙ্গীবাড়ী বিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত অনন্ত (১৬) তার বাড়ি হতে উপজেলার বালিগাঁও বাজার বড় মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে গত ২২ এপ্রিল বালিগাঁও বাজারের ফলপট্টি ফারুক কাজির দোকানের পিছনে তাকে মারধর করে একই গ্রামের আলহাজ্ব কাজী (৪০), মাহিম (১৯), সায়েম (২০), ফারুক (৪২) ও স্বপন মোল্লা (৫০)। এসময় ওই কলেজছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। প্রথমে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে আহত ওই কলেজছাত্র টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মামলার বাদি নুরজাহান বেগম বলেন, আলহাজ্ব কাজী গংদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা চলে আসছে। সেই শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলে বালিগাঁও বড় মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তার উপর হামলা করে ওরা। আমার ছেলেকে কাঠের ডাসা, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে আমার ছেলের বুকের হাড় ভেঙ্গে ফেলে। তাকে গলায় চাপ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমরা তাকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে এখন টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে এ ব্যাপারে বালিগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক খান বিচারের দায়িত্ব নিলে হামলাকারীরা বিচার না মানায় আমি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার চাওয়ায় আমার ছেলের উপর হামলাকারীরা গত ২৭ মে বিকাল ৫টার দিকে আমি আমার নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে আমার ছেলেকে দেখার জন্য টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পথে বালিগাঁও বাজার এশিয়া ব্যাংকের পিছনে আমাকে একা পেয়ে আমি আমার ছেলের বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে খুন করে ফেলবে বলে ওরা হুমকি দেয়। পরে আমি রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।