নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে। বর্ষাকালের শুরুতেই শুরু হয়ে গেছে বর্ষার বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আর এটাই গাছ লাগানোর মোক্ষম সময়। যেহেতু বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উত্তম সময়। তাই বিভিন্ন ছোট বড় চারাগাছ ও বিভিন্ন গাছের কলম কেটে গাছের চারায় রুপান্তরিত করে বিক্রি করার জন্য টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ছোট বড় বেশকিছু নার্সারী। উপজেলার বেতকা, পাইকপাড়া, উত্তর বেতকা, বেতকা চৌরাস্তা, আব্দুল্লাহপুর, কান্দাপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে নার্সারী মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, শীত আর তপ্ত গরমের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস নার্সারীতে গাছ বিক্রয় না হওয়ায় হা-হুতাশ করছিলেন তারা। চারাগাছ বিক্রি না হলেও নিয়মিত সেচ আর চারাগাছ পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হয়েছিল তাদের। মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় ছোট নার্সারি মালিকরা বড় নার্সারি মালিকদের কাছ থেকে চারা কিনে জড়ো করছেন। এতে করে তাদের বেশ বিনিয়োগও করতে হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাগান করার জন্য চারা কিনতে অনেকেই এখন দ্বারস্থ হচ্ছেন নার্সারি মালিকদের কাছে। নার্সারিতে চারাগাছ বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা চারাগাছ নিয়ে হাজির হচ্ছেন শহর বা গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে। গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বিক্রয় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে চারাগাছ। অনেকে আবার রিকশা-ভ্যানে করে চারা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চারা বিক্রি করছেন। উপজেলার বেতকাবাজার ও টঙ্গীবাড়ী বাজারের গোয়ালবাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের সড়কে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা নিয়ে সকাল থেকেই এসে বসেন নার্সারীর লোকজন। যদিও এখন মহামারী করোনা ভাইরাসের জন্য হাট বন্ধ থাকায় তেমন ক্রেতা ও বিক্রেতা আসেনা। এ নিয়ে কথা হয় টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা চৌরাস্তা এলাকার আল্লাহর দান নার্সারীর মালিক মোঃ জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন নার্সারি মালিকদের। আমি এরই মধ্যে অন্যান্য নার্সারী থেকে অনেক টাকার চারা কিনে এনেছি। কিন্তু এইসময়ে লকডাউনের ফলে আমাদের ব্যবসা একটু খারাপই হচ্ছে। যাই হোক, এখন আমাদের চারা বিক্রয় শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই আমার নার্সারি থেকে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে যারা বাগান করবেন তারাই আসছেন সরাসরি নার্সারিতে। তিনি জানান, এবার আমগাছের চারা ও লটকনের চারা, ভিয়েতনামের নারিকেল গাছের চারার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আবার অনেকে বাগান করার জন্য বিভিন্ন ফুল ও ফলগাছের চারাও নিচ্ছেন। আশা করছি, লকডাউন শেষ হলে এবার আমাদের ব্যবসা ভালই হবে। এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখেছি ছোট বড় বেশকিছু নার্সারী গড়ে উঠেছে। চারাগাছ রোপণ ও গাছ পরিচর্যা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে যদি কেউ সেবা নিতে আমার অফিসে আসে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাদের সেবা দেয়ার জন্য।