নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী চরাঞ্চলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে শিশুর পিতা শাহজালাল ফকিরও মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার বানারী গ্রামের শাহজালাল ফকিরের পুত্র তরিকুল ইসলাম (৮) ও একই গ্রামের আকতার মল্লিকের নাতি রবিউল (৭) গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে গোসল করতে গেলে সেখানে একটি মাছ ধরার চাই দেখতে পায়। পরে তারা চাইটি উঠিয়ে তাতে মাছ আছে কিনা দেখতে চায়। এর মধ্যেই একই এলাকার চাইয়ের প্রকৃত মালিক নুরু চৌকিদার এর ছেলে রোমান চৌকিদার (২০) তা দেখতে পেয়ে তাদেরকে ধরে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। পরে রোমান চৌকিদার, হালিম চৌকিদার, নুরু চৌকিদারসহ কয়েকজন মিলে ওই ২ শিশুকে উপজেলার বিদগাঁও নতুন বাজারে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে তরিকুলের পিতা শাহ জালাল ফকির তার ছেলেকে বাজার থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য কুদ্দুস মুন্সীর নেতৃত্বে তাকে ও তার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর মাঝিকে (৫৫) মারধর করা হয়। তারপর এলাকার লোকজন ঝগড়া থামিয়ে দিলে পরে বাড়িতে ফেরার পথে শাহজালাল ফকির গংদের গতি রোধ করে সেরাজল কবিরাজ ও তার ছেলেরা শাহজালাল গংদের পুনরায় মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে সিরাজুল কবিরাজ (৬২), হোসেন কবিরাজ (২৫), ইয়ার রসুল কবিরাজ (২৮), কুদ্দুস মুন্সী (৪৫), হালিম চৌকিদার (৫০) ও রোমান চৌকিদার (২৪) এর বিরুদ্ধে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য কুদ্দুস মুন্সী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শাহজালাল ও রোমান চৌকিদারের মধ্যে মারামারি হচ্ছিলো এমন অবস্থায় আমি তাদের থামাতে গিয়েও অপমানিত হয়েছি। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় দু’পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।