নিজস্ব প্রতিবেদক
আর মাত্র কয়েকদিন পরই মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ ঈদকে সামনে কোরবানির জন্য কামারপাড়াগুলোতে নেই তেমন ব্যস্ততা। নেই হামার, হাতুড়ি দিয়ে পোড়া লোহার উপর আঘাতের টুং টাং শব্দ। বংশ পরম্পরায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত কামার পরিবারগুলো পরম যত্ন সহকারে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য চাপাতি, চাকু, ছুরিসহ ধারালো সব সামগ্রী তৈরি করেন। অথচ এ বছর করোনার কারণে তাদের কাজ অনেক অংশেই কমে গেছে। সরেজমিনে উপজেলার বেতকা, দিঘীরপাড়, আলদি, হাসাইল, বালিগাঁও ও টঙ্গীবাড়ী বাজারের কামারপাড়াগুলোতে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। কামারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের কাজ নেই বললেই চলে। এখন অনেকটাই অলস সময় পার করছি। করোনা ভাইরাস যখন ছিলনা তখন এই সময়ে কাজের ব্যস্ততায় ভাত খাওয়ারও সময় থাকতোনা। আর আমাদের মনে হচ্ছে করোনার কারণে এ বছর কোরবানির পশু জবাই কম হবে। তাইতো এবার দা, বটি, ছুরি, চাকু, চাপাতি ও পশু জবাই করার বড় আকারের ছোরা বানাতে আসছেন না তেমন কোন কাস্টমার। উপজেলার বেতকা বাজারের কামার সুধীর দাস (৪৬) বলেন, আমি প্রায় ২৩ বছর ধরে এ পেশায় জড়িয়ে আছি। আমার বাপ-দাদার পেশা ছিল এটা। আমরা এ পেশাতেই জীবিকা নির্বাহ করছি। করোনা ভাইরাস এর আগেকার সময়ে কোরবানির ঈদ আসলে আমার এখানে দৈনিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা রোজগার করতাম। অথচ গেল বছর কোরবানির ঈদের সামনে তেমন আয় রোজগার হয়নি। আর এ বছরও হাতে তেমন কোন কাজ নেই। টঙ্গীবাড়ী বাজারের কামার মিত্তি মন্ডল (৫০) বলেন, এই লকডাউনের সময় কোনদিন ২ শত কোনদিন ৩ শত টাকার বেশি কাজ করতে পারিনা। এ টাকায় সংসার চলেনা। সংসারে বাবা-মা, স্ত্রী ও ২ মেয়ে ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। মনে করেছিলাম ঈদ ঘিরে কিছু কাজকাম বেশি হইব তা আর হইলো কই। করোনা ভাইরাসেই তো সব শেষ কইরা দিল।
টঙ্গীবাড়ীতে ব্যস্ততা নেই কামারপাড়ায়
আগের পোস্ট