ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। যার মধ্যে চারটিতেই ছিল আইসিসি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ। যেখানে রয়েছে মোট ৮টি ম্যাচ। এ ম্যাচগুলোর পুনঃসূচির জন্য আইসিসির দ্বারস্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে এক টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুইটি করে টেস্ট এবং শ্রীলঙ্কা সফরে তিন টেস্ট- এই ৮ টেস্ট স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড সফরও স্থগিত হয়েছে করোনায়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজগুলো নিয়ে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। খেলা যাবে যেকোন সময়। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো শেষ করতে হবে দুই বছরের সময়সীমার মধ্যেই। কিন্তু বিসিবি মনে করছে ৮টি ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ায় সেগুলো বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। এজন্য বিসিবির চাওয়া আইসিসি যেনো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়সীমা আরও বর্ধিত করে, যাতে করোনায় স্থগিত ম্যাচগুলো সবকয়টি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ। অন্যথায় পুরো ৮ ম্যাচের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে না। বর্তমান সূচিতে আগামী জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচের সময় নির্ধারিত রয়েছে। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যাচ আকরাম খান বলেছেন, ‘আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান সময়সীমা বাড়ানো না হলে, আমাদের স্থগিত হওয়া ৮ ম্যাচ খেলার কোন সুযোগই থাকবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপারে আইসিসি কী করে। কারণ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সময় না দেয়া হলে, পিছিয়ে যাওয়া ৮ ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে না।’ একই কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তার মতে, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল যদি সূচি মোতাবেক আগামী জুনেই হয়, তাহলে এসব ম্যাচের ভাগ্য সূতায় ঝুলে যাবে। কারণ পরবর্তী জুনের মধ্যে এসব ম্যাচ খেলার মতো সময় আমরা পাবো না। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় বাড়লে হয়তো সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।’