ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনায় বন্ধ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। জাতীয় দলের বাইরে থাকা অনেক ক্রিকেটারই ভুগছেন চরম অর্থ সংকটে। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করতে এরই মধ্যে প্রথম শ্র্রেণির ক্রিকেটারদের সবাইকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে বিসিবি।
তারপরও শতাধিক ক্রিকেটারের দিন কাটছে নিদারুণ সংকটে। এমতাবস্থায় মিলেছে স্বস্তির পরশ। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার হিসেবে যারা বোর্ডের কাছ থেকে বেতন পান, সেই ৯১ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা সবাই একসঙ্গে পেলেন তিন মাসের বেতন।
একথা শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন বিসিবি হয়তো করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তিন মাসের বেতন অগ্রিম দিয়েছে। এ ব্যাপারে বোর্ড সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে বিসিবি সিইও জানান, ‘নাহ, বেতন অগ্রিম দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সত্যিই তিন মাসের বেতন অগ্রিম দেয়া হয়নি। তবে ক্রিকেটাররা একসঙ্গে তিন মাসের অর্থই পেয়েছেন।
দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক তুষার ইমরান বলেন, ‘আমার একাউন্ট যে ব্যাংকে, সেখান থেকে এসএমএস দেয় না। তাই ঠিক কত জমা হয়েছে আমি জানি না। তবে শুনেছি, এবার আমাদের তিন মাসের বেতন একসঙ্গে দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
তবে আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি খোলাসা করে দিয়েছেন। দেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এ বাঁহাতি স্পিনার জানিয়েছেন, ‘আসলে প্রতিবছর এটা নতুন করে দেয়া হয়। হয়তো কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন হয়। কারো নাম বাদ পড়ে। কিছু সংযোজন ঘটে। সেটা নতুন বছরের প্রথম মাস মানে জানুয়ারিতে হয়।’
‘সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা ঐ বছরের বেতন পাই। তবে টাকা পেতে পেতে আমাদের মার্চ-এপ্রিল হয়ে যায়। কোনবার মে জুনেও পেয়েছি। এবারও জানুয়ারি, ফেব্রæয়ারি আর মার্চে বেতন হয়নি। তবে কদিন আগে জানুয়ারী থেকে মার্চ- এই তিন মাসের বেতন একসঙ্গে দিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজেই এটা অগ্রিম বেতন নয়। কিন্তু আমরা তিন মাসের বেতন একসঙ্গে পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটাও ভাল। এক ধরনের স্বস্তি।’