নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, একটি অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে ব্যাহত করতে নানামুখী অতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিনএপি-জামাত এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় বিএনপি-জামাত অশুভ জোটকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গতকাল ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদতলে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এমপি। সভায় বক্তৃতা করেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ২৪ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। এই দিনটি আরেকটি কারণে টাঙ্গাইলবাসীর জন্য ও দেশবাসীর জন্য স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালিত হয়। সেই মহতি ক্ষণে টাঙ্গাইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট বিশাল মুক্তিবাহিনী সঙ্গে নিয়ে বিরাট অস্ত্র ভান্ডার সমপর্ণ করে ইতিহাসের অনন্য নজির স্থাপন করেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
তিনি বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একজন কিংবদন্তী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত প্রিয় অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আবারও অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন, প্রতিরোধ নিতে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে কাদের সিদ্দিকী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
