নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে এক নিদারুন দৃশ্য, সৌন্দর্য্যে স্বয়ংসম্পন্ন, পর্যটকদের মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় জায়গার এক নতুন নাম চর কিশোরগঞ্জ মোল্লারচর। মানুষকে ঘরবন্দী করেছে করোনা ভাইরাস। লকডাউন, কারফিউ দিয়ে মানুষ ঘরে থেকে লড়াই করছে প্রানঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে। স্থানভেদে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গণপরিবহন, সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় পর্যটনপ্রিয় জায়গাগুলোতে ছুটছে মানুষ। অথচ অনেকে হয়তোবা জানেনা মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে মাত্র আধা কি.মি অদূরে অবস্থিত চর কিশোরগঞ্জ মোল্লার চর গ্রাম। সৌন্দর্য্যে ভরা মন কাড়া দর্শনীয় স্থান। প্রতিটি ভ্রমণপিপাসু মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছেন এর সৌন্দর্য্যরে কথা। খুঁজে পেয়েছেন পর্যটনের আসল লীলাভূমি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যরে রূপ যেন পুরোটাই এখানে ছুঁয়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠেছে এ গ্রামটি। প্রায় প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় সব বয়সের অসংখ্য মানুষজন। মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে ফরায়েজি বাড়ি ঘাট থেকে ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী কালিদাস নদীর উপরে নির্মিত কাঠের ব্রিজ হয়ে আসতে হয় এখানে। মোল্লারচর বাজার অতিক্রম করতে না করতেই যেন প্রকৃতি পর্যটনপ্রিয়দের হাতছানি দেয়। রাস্তার দু’পাশে কৃষিজমি যেন সবুজের সমাহার, সুন্দর গাছ। একটু সামনে এগিয়ে গেলেই ধলেশ্বরী নদী। রাস্তার দু’পাশে বসার টেবিল, গাছের ছায়া। সুবিশাল নদীর দিকে তাকালে যেন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে দূর থেকে আসা লঞ্চ, স্টীমার, ট্রলার আর জেলেদের মাছ ধরার নৌকা যেন সৌন্দর্য্যকে আরো ছাড়িয়ে যায়। এখানে আপনি ঘন্টার পর ঘন্ট অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন। ধলেশ্বরী নদীর সাথে সংযোগ করেছে পদ্মা, মেঘনা। যতদূর চোখ যায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে ততই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতান বেপারী সাহেবের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক স্বনামধন্য এক সংস্থা থেকে প্রায় এক কোটি পনেরো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল এই পাকা রাস্তা। যার দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কি.মি.। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন রাস্তার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। গ্রামের এই সুন্দর মনোরম পরিবেশের মনোমুগ্ধকর রাস্তাটিকে পর্যটন এরিয়া হিসেবে স্বীকৃতি দিতে উপর মহলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুবসমাজ ও সুশীল সমাজ। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় হতে পারে এ গ্রামটি। তাই আসুন, আমাদের হাতের কাছের এই সৌন্দর্য্যটাকে আমরা ফুটিয়ে তুলি আরো সৌন্দর্য্য দিয়ে। মানুষ যেন এর সৌন্দর্য্যকে উপলব্ধি করে এর বিকল্প কিছু ভাবতে না পারে।