নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও কর্মপ্রয়াসে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার গজারিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ আয়োজিত বার্ষিক প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, খাদিজা আক্তার আঁখি, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন, হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, খামারি আঁখি আক্তার প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, একটি দেশের টেকসই অগ্রগতি এবং স্বয়ম্ভরতা অর্জনে প্রাণিসম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। তাই দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি সাধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই খাতের উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ফলে এই খাত আজ একটি অপার সম্ভাবনাময় অবস্থানে পৌঁছে গেছে। খাদ্য নিরাপত্তা তৈরি, সুষম পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়ন, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও কর্মপ্রয়াসে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাতকে আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণিসম্পদ খাতটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম একটি স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাত আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই খাত দেশের অভ্যন্তরীণ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই এই খাতকে আরও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে এবং এই খাতে সংশ্লিষ্টদের আরও দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। সেই সাথে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এই খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত একসময় চরম অবহেলিত ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবহেলার অধ্যায় অতিক্রম করে এ খাতে একটা আমূল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করার ফলে এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সব বিভাগ করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। যে কারণে আমাদের দেশে ওষুধের অভাব হয়নি, খাদ্যের অভাব হয়নি। আমাদের কৃষিখাত ও শিল্পকারখানা সচল রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি অনেক দেশের চেয়ে ভালো।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ ৫০টি স্টলের উন্নত জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, কবুতর, ঘোড়া, হরিণ, ময়ূর, খরগোশ ঘুরে ঘুরে দেখেন।