বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে
-অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আত্মনির্ভরশীল উন্নত-সমৃদ্ধ কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণেল মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্নসাধ পূরণ করতে হবে।
আজ ১ আগস্টের প্রথম প্রহরে মুন্সীগঞ্জ শহরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য চত্বরে শোকের মাস আগস্ট মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ¦লন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, শ্রমিক লীগ সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল প্রমুখ। এ সময় অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস উপস্থিত নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে কাজ করার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আগস্ট মাস বাঙালির জাতির শোক-সন্তাপ আর বেদনা বিধূর স্মৃতিকাতর মাস। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃসংশ হত্যাকান্ডের শিকার হন।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মুক্তি সর্বোপরি উন্নয়ন-সমৃদ্ধি সকল কিছুই অর্জিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শান্তিময় জীবনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে আজকে শুধু একটি কথাই বলবো- বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বা অনুসারী বলে দাবী করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আত্মনিবেদন করতে হবে। শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক ভ‚মিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
শপথ বাক্যে তিনি বলেন, আমরা যে কোন মূল্যে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ভাষা, কৃষ্টি, সংষ্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমুন্নত রাখবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র রক্তঋণ পরিশোধ করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবো। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, দূরদর্শিতা, একাগ্রতা, গতিশীল নেতৃত্ব এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।