ফিচার ডেস্ক
মায়ের জন্য সত্যিই কি এই একটি দিন? বিষয়টি আসলে তেমন নয়। মায়ের জন্য বছরের সবগুলো দিন। একটি দিন হলো বিশেষভাবে উদযাপনের। বছরজুড়ে প্রতীক্ষায় থাকা কোনো উৎসবের মতো। আদর, ভালোবাসা, আবদার, অভিমান সবকিছুতেই তো মা জড়িয়ে থাকে। সন্তানের যেকোনো সাফল্যের পেছনে মায়ের অবদান অপরিসীম। মায়েরা উৎসাহ না দিলে, এগিয়ে না এলে হয়তো সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আর তাই ঠিক একদিন নয়, মাতৃত্বের জন্য প্রতিটি দিন।
প্রতি বছর এই ১০ মে দিনটি মায়েদের দিন হিসেবে পালন করা হয়। তবে বিশ্বের সব দেশ কিন্তু এই ১০ মে মাদার্স ডে পালন করে না। ব্রিটেনে যেমন মার্চ মাসের টতুর্থ রবিবার এই দিন পালন করা হয়। গ্রিকরা পালন করে ২ ফেব্রুয়ারি। আবার আরবের দেশগুলোতে ২১ মার্চ মাদার্স ডে পালন করা হয়। যদিও বেশিরভাগ দেশেই এই দিন মাদার্স ডে পালিত হয়।
গ্রিক আর রোমানরা তাদের প্রাচীন দেবীর স্মরণে এই দিন পালন করা শুরু করে। এরপর আমেরিকায় শুরু হলে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আমেরিকার বাসিন্দা অ্যানা জারভিসের মা দীর্ঘ জটিল রোগভোগের পর মারা যান। অ্যানার মা ছিলেন নার্স। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে আহত সৈনিকদের তিনি সেবা করতেন। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন। এছাড়াও তার মা অ্যান রিভেস জারভিস মাদার্স ডে ওয়ার্ক ক্লাবস নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। যারা সমাজের জন্য কাজ করতেন। তাদের সম্মান জানাতেই অ্যানার এই প্রচেষ্টা। সেখান থেকেই ১৯০৮ সালে প্রথম এই দিন পালন করা হয়।
সবার সব কাজেই ছুটি মেলে, কিন্তু মায়েদের জন্য আলাদা করে কোনো ছুটির দিন নেই। অফিস সামলেও তাদের প্রতিদিন বাড়ির কাজ করতে হয়। তাই এই একদিন উদযাপনের অজুহাতে যদি একটু তাদের ছুটি দেয়া যায়, মন্দ কী।
একটা দিন না হয়, মায়ের কাজগুলো সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিলেন। মায়ের পছন্দের খাবার তৈরি করুন, ঘর গুছিয়ে দিন আজ। লকডাউনের কারণে বাড়িতে মায়েরা ক্লান্ত। তাই শুধু আজকের দিনটি নয়, বরং যতটা সম্ভব তার পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
মায়ের জন্য একটি দিন…
আগের পোস্ট