নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর মৃত অবস্থায় তুহিন বেপারী (১৪) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তুহিনকে হত্যা করে তার বন্ধু মেহেদি হাসান। পুলিশ বলছে, গত শনিবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে মেহেদি। নিহত তুহিন মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার মোঃ মামুন বেপারীর ছেলে। একই এলাকার বন্ধু মেহেদী (১৯) মিশুক চালানো নিয়ে খুন করে তুহিনকে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তুহিনের বন্ধু মেহেদি হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার রহম আলীর কাছ থেকে একটি মিশুক ভাড়া নেয়। গত মঙ্গলবার সেই মিশুকটি মেহেদি তুহিনকে ভাড়া দেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তুহিন ও মেহেদি ভাড়া নিয়ে খাসকান্দি যায়। তারপর থেকেই তুহিন নিখোঁজ হয়। গত শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভোতারচর এলাকায় মেঘনার শাখা নদী থেকে তুহিনের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর মিশুকের মালিক, তার ছেলে ও মেহেদিসহ চারজনকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিঙ্গাসাবাদে তুহিনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে মেহেদি। গত শনিবার দুপুরে আদালতে জবানবন্দিতে মেহেদি জানায়, সে অসুস্থ থাকায় তার বন্ধু তুহিনকে মিশুকটি চালাতে দেয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে তুহিনের কাছে মিশুক চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার যায় তুহিন। সেসময় মেহেদিও সাথে ছিল। যাত্রী নামানোর পর মিশুকটি নিয়ে আবারো দ’ুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায়ে নদীর পাড় নির্জন স্থানে হাতাহাতি হয় তাদের। মার খাওয়ার কারণে তুহিন অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয় তুহিনকে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান বলেন,এ ঘটনায় তুহিনের বাবা মামুন বেপারী বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে। মেহেদিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওসি তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন, ওসি অপারেশন মোঃ আবু হানিফ শেখ।