শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি’র বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এদেশের রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে নির্বাসিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিরোধিতা আর গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারে না।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেনসহ তিনজন আন্দোলনকারী এবং আহত হন অসংখ্য নেতা-কর্মী। মিছিলে অংশ নিয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সুতীব্র প্রতিবাদ তুলে ধরে নিজের বুকে-পিঠে সাদা রঙে লিখেছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাকÑ গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান। নূর হোসেনের বুলেটবিদ্ধ রক্তাক্ত ছবি জনতার মনে প্রতিবাদের অনল প্রবাহ সৃষ্টি করেছিল। স্বৈরচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও দুর্বার ও দুর্দমনীয় হয়ে উঠেছিল।
বিবৃতিতে তিনি শহীদ নূর হোসেনসহ বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মুক্তির আন্দোলনে আত্মদানকারী সকল দেশহিতৈষী শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, শহীদ নূর হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ একজন গণতন্ত্রকামী মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এদেশের রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে নির্বাসিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিরোধিতা আর গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারে না।