নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মনির হোসেনের (৪১) করোনা শনাক্ত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার ছাড়াও চিকিৎসক, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্যকর্মী, বিদ্যুৎকর্মীসহ নতুন ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হলো ১১২। গত ২৬ এপ্রিল পাঠানো নমুনার রিপোর্ট গতকাল শুক্রবার সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছে। এদিনে ৫৫টি নমুনার মধ্যে ২১ জনের পজিটিভ এবং ১৫ জনের নেগেটিভ আসে। তবে বাকী ১৯টির রিপোর্ট এখনও আসেনি। ২১ জনের মধ্যে সদরে আরও রয়েছেন সিভিল সার্জন অফিসের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর গাজী আমিন (৫৪), মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ব্রাদার (৫২), খালইস্ট এলাকার মহিলা (৬০), রামপালের পুরুষ (২৫), হাতিমারা গ্রামের পুরুষ (৬০) এবং নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া বৈখর গ্রামের নাজমা বেগম (৬০)। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক পুরুষ (৪৯) এবং পুরুষ (৪৪)। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা (২৬), মহিলা (২৬) ও মহিলা (২৫), সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুতের পুরুষ (৩২) ও পুরুষ (২৯)। সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দির পুরুষ (৩৫) ও পুরুষ (৩২), লতব্দির কাদিরপুর গ্রামের মহিলা (৩৩) ও ভাটিমভোগ মহিলা (২৪)। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পোদ্দারপাড়া গ্রামের পুরুষ (৩৫), ধামারন গ্রামের পুরুষ (৫৩)। এছাড়া লৌহজং নাগেরহাট গ্রামের মহিলা (৯০)। গত ২৯ এপ্রিলের নমুনা থেকে মুন্সীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার নতুন করে আরও দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরা হচ্ছেন শ্রীনগরের বেজগাঁও গ্রামের পুরুষ (২৮) এবং সদর উপজেলার পঞ্চসার গ্রামের মহিলা (৪৫)। এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১২। নতুন পাওয়া ২৬ এপ্রিলের নমুনার ২১ জন এবং ২৯ এপ্রিলের নমুনার ২ জন মিলে ২৩ জনের তালিকা পেয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ জন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ২ জন, লৌহজং উপজেলায় ১ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ জন, গজারিয়া উপজেলায় ২ জন এবং শ্রীনগরে ১ জন।