নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলায় আরও চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাই জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৬১। আইইডিসিআর’র ওয়েব সাইডে মুন্সীগঞ্জ জেলায় এই সংখ্যাটি ৬১ দেখানো হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জানান, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলের সাথে কথা হয়েছে। তার কাছেও এখনও এই রিপোর্ট আসেনি। তবে হয়তো যেকোন সময় চলে আসবে। যেহেতু অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে তথ্যটি দেয়া হয়েছে, এটিকে সঠিকই বলা যায়। তবে যেহেতু আমাদের হাতে এই সংক্রান্ত কাগজ এখনও আসেনি, তাই আমরা এ ব্যাপারে এখনও কিছু বলতে পারছি না। কারণ কোন উপজেলায় এবং কে আক্রান্ত হলেন সেটি জানা জরুরি। তিনি গত বুধবার পর্যন্ত ৫৭ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত সোমবার পাঠানো ৫০টির মধ্যে বাকী থাকা ১৮টির আরও ১৫টি রিপোর্ট এসেছে। এ ১৫টি রিপোর্টই নেগেটিভ। এই রিপোর্টগুলো গত বুধবারই বিকাল দিকে আসে। এছাড়া এখনও অন্য রিপোর্টগুলো আসেনি।
মুন্সীগঞ্জে গত বুধবার নতুন করে আরও ৪৪ জনের সোয়াব সংগ্রহের পরে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭, সিরাজদিখানে ১২, শ্রীনগরে ২, টঙ্গীবাড়ীতে ১০ ও গজারিয়া উপজেলায় ৩ জনের সোয়াব সংগ্রহ হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, গত রবিবার পাঠানো ৭০টি নমুনার মধ্যে ৬২টি রিপোর্ট গত মঙ্গলবারের আগে আসে। পরে আসা বাকী ৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। গত বুধবার ৪৭টির রিপোর্ট আসে। গত সোমবার পাঠানো ৫০টির মধ্যে গত বুধবার সকালে ৩২ জনের রিপোর্ট আসে। যার মধ্যে ৬ জনের পজিটিভ। বিকালে আরও ১৫টি রিপোর্ট আসে। এ ১৫টি রিপোর্টই নেগেটিভ। এখন রিপোর্ট আসা বাকী আছে সোমবারের ৩টি, মঙ্গলবারের ৩৩টি ও বুধবারের ৪৮টিসহ মোট ৮৪টি রিপোর্ট। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেরণের ৪৪টিতো রয়েছেই।
গত রবিবার পাঠানো ৭০ জনের সোয়াব পরীক্ষার ৮ জন পজিটিভ হলেও বাকী ৬২ জনের করোনা নেই। গত রবিবারের পুরো রিপোর্ট চলে আসলেও সোমবারের ৩টি এবং মঙ্গলবারের পুরো ৩৩ জন ও বুধবার পাঠানো ৪৮ জনের রিপোর্ট পেন্ডিং আছে। আইইডিসিআরে এখন পরীক্ষার চাপ বেড়ে যাওয়ায় রিপোর্ট পাঠাতে বিলম্ব করছে। মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন আরও জানান, তাদের হিসাবে এ পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন মৃত। মোট শনাক্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬ জন, গজারিয়ায় ৮ জন, টঙ্গীবাড়ীতে ১০ জন, সিরাজদিখানে ১১ জন, শ্রীনগরে ৭ জন এবং লৌহজং উপজেলায় ৫ জন। এ পর্যন্ত ৪৫৪ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭০ জনের রিপোর্ট এসেছে। ৮৪ জনের রিপোর্ট এখনও পেন্ডিং আছে।