নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এ এইচ এম মোবারক উল্লাহ (৫৬) এর করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত রবিবার সংগ্রহ করা তার সোয়াব পরীক্ষার জন্য সোমবার আইইডিসিআর এ প্রেরণ করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, এছাড়াও সিপাহিপাড়াস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতর কম্পাউন্ডের থাকা পুরুষ কুক (৪০) ও তার মায়ের (৬৫) করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত শনিবার এই কম্পাউন্ডে থাকা লাইনম্যান খলিলুর রহমান (৫০) করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহাম্মেদ বলেন, মারা যাওয়া লাইনম্যানের স্ত্রীও বেশ অসুস্থ। তিনি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ একটি টিম সেখানে যাচ্ছেন। যেহেতু মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিপাহিপাড়া সদর দফতরের চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। যারা শনাক্তকারীদের সংস্পর্শে ছিলেন তাদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে। আক্রান্তদের আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, এটি একটি জরুরি সেবা। আক্রান্তদের সুরক্ষার পাশাপাশি কিভাবে এই কম্পাউন্ডের ভেতরের কর্মকান্ডও সচল রাখা যায় সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। সমিতির জিএম এর অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে সবচেয়ে সিনিয়র মুন্সীগঞ্জ সদর জোনের ডিজিএিম মোঃ শফিউল আলমের। তিনি বলেন, জিএম মহোদয়ই দায়িত্ব পালন করছিলেন। যেহেতু তার করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ঢাকার কেন্দ্রীয় দফতর অবহিত আছেন। তাদের সুচিকিৎসা, জরুরি পরিসেবা চালু এবং কর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এ এইচ এম মোবারক উল্লাহ সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছেন।