নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সীমানা প্রাচীরে ইতিহাস সম্বলিত সৌন্দর্য বর্ধন কাজে এলাকাবাসীর নিকট প্রশংসিত হয়েছেন কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিদ্যুৎ আলম মোড়ল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভাষণ, সভায় বক্তব্য, চিঠিসহ নানা ইতিহাস সম্বলিত ডিজাইনকৃত টাইলস দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের সামনের দেয়ালের দুইপাশে আধুনিক সুন্দর ডিজাইনকৃত টাইলস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সীমানা দেয়াল। যাতে রয়েছে ১৯৭০ এর নির্বাচনে যশোরে প্রচার সভায় বক্তৃতাদানরত বঙ্গবন্ধু, যশোরে গৃহবধূ চারুবালা পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত, ছাত্রজনতার কালো ব্যাজ ধারণ, ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ সালে শহীদ মিনারে সমাবেশে মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, রশিদ তর্কবাগীশ, তাজউদ্দীন আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমেদ, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে মুক্তিপাগল জনতার সমাবেশ। সদ্য কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মো. বিদ্যুৎ আলম মোড়ল জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগকে বুকে ধারণ করে এতটা পদ এগিয়ে এসেছেন। তার মনের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্য যে আবেগ, ভালবাসা তা তিনি পরিষদের দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক বড় নেতা লৌহজংয়ে আছে তবে অনেকেরই তার মত মন নাই। দেওয়ালে কাজটি করে তিনি অনেকের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন।
কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মাকসুদ মিয়া জানান, লৌহজং উপজেলা টিআর (গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ) বরাদ্দকৃত টাকা ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬শত ৫৪ টাকা মাত্র। যা দিয়ে আমাদের সীমানা দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিদ্যুৎ আলম মোড়ল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের অনুসারী। মুজিব আদর্শ বিকশিত করতে রাজনীতি করি। আমি আমার দল আওয়ামী লীগকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছি। আমি সুযোগ পেয়েছি এবং কনকসার এলাকাবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। দলের ঐতিহাসিক কিছু ছবি দেয়ালে দিয়ে অনেকের প্রশংসা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ ও আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তারা আমার কাজের অনেক প্রশংসা করেছেন।