নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, কনকসার, তেউটিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাজে ধীর গতি। নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ। তারা জানায়, পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজে ধীর গতির কারণে ভাঙনের শিকার আমরা। তাদের কাজে অবহেলায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ আমাদের কাজেই আসবে না।
উপজেলা পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেউটিয়া, বেজগাঁও ও গাঁওদিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ভিটামাটি হারানোর পথে। বেজগাঁও ইউনিয়ন থেকে গাঁওদিয়া যাওয়ার নদী তীরবর্তী এলাকার একটি রাস্তা ভেঙে গেছে। সেই সাথে স্থানটির পাশে চারটি পরিবারের ভিটেবাড়ি ভাঙনের পথে। তথ্য থেকে জানা যায়, মোট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১৫টি। ভিটেমাটিসহ বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও লৌহজং পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বি. এম শোয়েব ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে ভাঙন পরিদর্শন করতে আসেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণেই পদ্মা নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। তবে ভাঙন প্রতিরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুতগতিতে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, আমি ১৫টি পরিবারের সদস্য কাছে আর্থিক সাহায্য হিসেবে ২ বান্ডিল টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছি। এছাড়া আরো বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাহায্য দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। এরপরও যদি কোন পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাদের সাহায্য করবো। কাজের ধীর গতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আপনারা সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন, গত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ডেকে দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এরপরে কোন প্রতিষ্ঠান কাজে গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমি নিজে। প্রয়োজনে সংসদে বলতেই থাকবো। এছাড়া তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। লৌহজংয়ের মানচিত্র রক্ষা করতে যে কোন পদক্ষেপ আমি নিব।