নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাউসার তালুকদারের বিরুদ্ধে শিমুলিয়া ঘাটের চাঁদাবাজি নিয়ে মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা কাউসার তালুদার বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরির্তনের পর সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এলাকা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার উপক্রম হয়। এসময় লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট ইজারাদার উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ সুলতান মোল্লাও গা ঢাকা দেন। পরে তিনি বিভিন্নভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করে ঘাট পরিচালনায় সহযোগিতা চান। আমি গত ২০ আগস্ট তার অনুরোধে সরকারী রাজস্ব আদায় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ৩শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এক চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে ঘাট পরিচালনার সহযোগিতায় আবদ্ধ হই। কিন্তু এ বিষয়টিকে একটি বিশেষ মহল ও আমার দলীয় প্রতিপক্ষ আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি কখনও শিমুলিয়া ঘাটে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। আমি ঘাট ইজারাদারকে সরকারী রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেছি মাত্র।
তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমি ১৩টি মামলার আসামী ছিলাম। অথচ আজ যখন আন্দোলনের সুফল পেয়ে অত্যাচার নির্যাতন মুক্ত হয়েছি, তখন একটি মহল আমার নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে আমাকে দলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। পরিশেষে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে সাংবাদিক ভাইয়েরা অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করে সংবাদ পরিবেশন করবেন। এতে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা বজায় থাকবে।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা সাক্ষী আবু হানিফ মাদবর চুক্তিপত্রের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘাট পরিচালনায় ইজারাদার সুলতান মোল্লার সাথে চুক্তির কথাটি সঠিক।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাট ইজারাদার হাজী মোঃ সুলতান মোল্লা বলেন, বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদারের সাথে ঘাট পরিচালনার জন্য আমার সাথে একটি চুক্তিপত্র লিখিতভাবে হয়। সে আমাকে ঘাট পরিচালনায় সহযোগিতা করছিল। কোনপ্রকার চাঁদাবাজির সাথে সে জড়িত ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম ঢালী, ইউপি যুবদলের সভাপতি মজিবুর রহমান খান লাভলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক তানজিল খান, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলতামাস শেখ, সাধারণ সম্পাদক ছালাম ঢালী, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম মোল্লা, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মান্নান খলিয়া, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি তাহের ফকির, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি শেখ আব্দুস ছালাম, ৫নং ওয়ার্ড ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া আকন, ইউপি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহান মৃধা, জাসাসের সভাপতি তানভীর খান, সাধারণ সম্পাদক রিপন বেপারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সোহাগ মৃধা, ছাত্রদলের কুমারভোগ ইউনিয়নের সভাপতি শেখ রিয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।